আনসার ভিডিপির মাঠঃ স্মৃতিকাতরতা


শেষরাতে অনেকটা আনমনেই জীবনের হিসেব
মিলাতে বসি। সেই হিসেব কষতে কষতেই
পুরোনো দিনে ফিরে যাই। চোখের
সামনে ভেসে ওঠে সাবাদের বাসার দেয়ালটা। তিব্বত বল
সাবানের এড ছিল মাথামাথি -এপাশ থেকে ওপাশে।
সামনে জব্বার চাচ্চুর দোকান। রাস্তার
উল্টাপাশে আনসার ভিডিপির মাঠ। মাঠটা বেশ নিচু।
বর্ষায় পুরো মাঠটা পানির নিচে চলে যেত। কাশেম
আংকেল ছিল আনসার ভিডিপির ইনচার্জ। প্রতি বর্ষায়
এই মাঠ কাম খালের পানিতে মাছ ছেড়ে বেশ কামাতেন
তিনি। আমরা পিচ্চিরা বেশ ভয় পেতাম উনাকে, উনার সেই
ভয়ঙ্কর গোঁফের জন্যই হোক আর বাজখাঁই হুংকারের
কারণেই হোক। শুনলাম গেলবার হজ্জ করে এসছেন তিনি।
আগের মত মেজাজও নেই। আনসার ভিডিপির মাঠটাও
মাটি ভরে বেশ উঁচু করা হয়েছে। বর্ষাকালে আর
পানি জমেনা, মাছও ছাড়া হয়না। মাঠটায় এখন ট্রেইনিদের
ট্রেনিং চলে। গেলবার বাসায় গিয়ে দেখলাম সেটাও
আটফুটে দেয়ালে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
বাইরে থেকে ভেতরে কি হচ্ছে দেখাই যায়না।
এপাশে জব্বার চাচ্চুর মুদি দোকানটা নেই।
সেখানে মার্কেট হয়েছে। মার্কেটের আড়ালে সাবাদের
বাসার সামনের দেয়ালটা এখন দেখাই যায়না...
এসব ভাবতে ভাবতেই রুমের দেয়ালে টিক দেয়া ঘড়িটায়
চোখ পরে - ভোর পাঁচটা বাজে। অনিচ্ছায় ঘুমিয়ে পরি -
আরেকটা কর্মহীন ব্যস্ত দিনকে স্বাগত জানাতে...


৩ জানুয়ারি ২০১৫

Comments