গল্পটা পরিচিত
শেষ বিকেলে মহানন্দার পাড় ধরে হাঁটতে ভালোই লাগে জাহিনের। বিশেষ করে সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে পশ্চিম আকাশের গোলাপী আভা নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয়ে এক অদ্ভুত মাদকতার সৃষ্টি করে। জাহিন তেঁতুলিয়া এসেছে প্রায় একমাস হলো। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে জয়েন করেছে। এটাই প্রথম চাকরি। বিসিএসের জন্য চেষ্টা করতে করতে যখন প্রায় হাঁপিয়ে উঠেছে তখন সহকারি শিক্ষা অফিসারের চাকরিটা যেন বাঁচিয়ে দিল। এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে হলের রুমমেট-জুনিয়রদের ডেকে বেশ একপ্রস্থ মিস্টি খাইয়ে দিয়েছিল। জুনিয়ররা যতটা না তাঁর চাকরি আনন্দে মিস্টি খেয়েছে তারচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছে এই ভেবে যে- যাক, এবার তাহলে জাহিন হলের সিটটা ছাড়বে। আসন সঙ্কটের এই নির্মম দিকটার কথা হলের সবাই জানে। বন্ধুদের সাথে সাথে অনেক জুনিয়রও ততদিনে চাকরিতে জয়েন করে থিতু হয়েছে। দুইটা প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের চলার খরচটা উঠে যেত। ছোটবোন ইমা ইডেনের হোস্টেলে থাকে। সেও নিজের খরচটা নিজেই চালায়। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবি বাবার পেনশনের টাকায় সংসারের খরচটা চলে যাচ্ছিল কোনমতে। বড় ছেলে হিসেবে জাহিনের ওপর চাপ ছিল। এতদিনে সবাই হাফ ছেড়ে বাচল। নদীর পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল জাহি...