অধিভুক্তি বাতিল আন্দোলন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ডিং বিষয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিল্ডিং এর ডিজিটালাইজেশন নিয়া কথা বলা জরুরী। বর্তমান অবস্থায় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেবা(!) দিতে হিমশিম খায়, তার ওপর অধিভুক্ত কলেজের বাড়তি চাপ! বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা নম্বরপত্র তুলতে কত জায়গায় কতবার যেতে হয় এর একটা ডায়াগ্রাম করা গেলে সেটা ক্যামিস্ট্রির কঠিন সব বিক্রিয়ার প্রসিডিওরের চেয়েও কঠিনতর হবে নিঃসন্দেহে।
চলমান আন্দোলন থেকে প্রতীয়মান যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরণের এলিটিজমের চর্চা বিদ্যমান- যেটা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরবর্তী জ্ঞান-দক্ষতার ভিত্তিতে নয় বরং ভর্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বিশ্ববিদ্যালয়ের লগো আছে মানেই ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট!
অবশ্যই ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয় একটা ব্র্যান্ড। কিন্তু এই ব্র্যাডের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোর ব্যাপারে আন্দোলন হয়না, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি নিয়ে আন্দোলন হয়না - এইটা দুঃখের ব্যাপার। ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্টরা ক্যাম্নে থাকে, খায়, ঘুমায়, পড়াশোনা করে এইটা নিয়া আন্দোলন হয়না। আন্দোলন যখন ব্র্যান্ড নিয়াই শুরু হইছে তাহইলে ব্র্যান্ডের মানোন্নয়ন নিয়াও আলোচনা হউক!
বিশ্ববিদ্যালয় যদি সার্ভাইভাল ট্রেনিং দেওয়ার জায়গা হয় তাহলে বর্তমান অবস্থাই পার্ফেক্ট। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যদি জ্ঞান সংরক্ষণ, তৈরি ও বিস্তরণের জায়গা হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ঘুমানোর জন্য একটা বিছানা অন্তত নিশ্চিত করেন, দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা অন্তত পূরণ করেন। প্রথম বর্ষে-দ্বিতীয় বর্ষের যারা হলে থাকে তাদের কতজনের রুমে একটা পড়ার টেবিল আছে বলে আপনার মনে হয়? নিজস্ব না হোক, শেয়ার্ড একটা পড়ার টেবিল আছে কতজনের? একটা ডেস্ক অন্তত? একটা পড়ার টেবিল যদি নিশ্চিত না করতে পারেন তাহলে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান সংরক্ষণ, তৈরি ও বিস্তরণ করবে কি গাছতলায় বসে ? তাও নাহয় সম্ভব ছিল, যদি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একটা ল্যাপটপ নিশ্চিত করা যেত- যেখানে আপডেটেড রিসোর্স এক্সেসিবল।
একটা লাইব্রেরি আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। হোক সেটা যতটা না লাইব্রেরি, তারচেয়ে বেশি Reading room! একটা লাইব্রেরিতে কয়টা জার্নাল আছে? আপডেটেড কয়টা বইপত্র আছে? '৮০র পরের আপডেটেড রিসোর্স আছে? লাইব্রেরির কালেকশনের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয় কি এখনো '৮০ তেই আটকে আছে কিনা এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসই আন্দোলনের ইতিহাস। আন্দোলন হউক, ব্র্যান্ডিং নিয়াই হউক, ব্র্যান্ডের মানোন্নয়ন নিয়া হউক।
চলমান আন্দোলন থেকে প্রতীয়মান যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরণের এলিটিজমের চর্চা বিদ্যমান- যেটা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরবর্তী জ্ঞান-দক্ষতার ভিত্তিতে নয় বরং ভর্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বিশ্ববিদ্যালয়ের লগো আছে মানেই ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্ট!
অবশ্যই ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয় একটা ব্র্যান্ড। কিন্তু এই ব্র্যাডের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোর ব্যাপারে আন্দোলন হয়না, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি নিয়ে আন্দোলন হয়না - এইটা দুঃখের ব্যাপার। ব্র্যান্ডেড প্রোডাক্টরা ক্যাম্নে থাকে, খায়, ঘুমায়, পড়াশোনা করে এইটা নিয়া আন্দোলন হয়না। আন্দোলন যখন ব্র্যান্ড নিয়াই শুরু হইছে তাহইলে ব্র্যান্ডের মানোন্নয়ন নিয়াও আলোচনা হউক!
বিশ্ববিদ্যালয় যদি সার্ভাইভাল ট্রেনিং দেওয়ার জায়গা হয় তাহলে বর্তমান অবস্থাই পার্ফেক্ট। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যদি জ্ঞান সংরক্ষণ, তৈরি ও বিস্তরণের জায়গা হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ঘুমানোর জন্য একটা বিছানা অন্তত নিশ্চিত করেন, দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা অন্তত পূরণ করেন। প্রথম বর্ষে-দ্বিতীয় বর্ষের যারা হলে থাকে তাদের কতজনের রুমে একটা পড়ার টেবিল আছে বলে আপনার মনে হয়? নিজস্ব না হোক, শেয়ার্ড একটা পড়ার টেবিল আছে কতজনের? একটা ডেস্ক অন্তত? একটা পড়ার টেবিল যদি নিশ্চিত না করতে পারেন তাহলে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান সংরক্ষণ, তৈরি ও বিস্তরণ করবে কি গাছতলায় বসে ? তাও নাহয় সম্ভব ছিল, যদি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একটা ল্যাপটপ নিশ্চিত করা যেত- যেখানে আপডেটেড রিসোর্স এক্সেসিবল।
একটা লাইব্রেরি আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। হোক সেটা যতটা না লাইব্রেরি, তারচেয়ে বেশি Reading room! একটা লাইব্রেরিতে কয়টা জার্নাল আছে? আপডেটেড কয়টা বইপত্র আছে? '৮০র পরের আপডেটেড রিসোর্স আছে? লাইব্রেরির কালেকশনের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয় কি এখনো '৮০ তেই আটকে আছে কিনা এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসই আন্দোলনের ইতিহাস। আন্দোলন হউক, ব্র্যান্ডিং নিয়াই হউক, ব্র্যান্ডের মানোন্নয়ন নিয়া হউক।
Comments
Post a Comment